বরেন্দ্র নিউজ ডেস্ক : আকবর আলীর ব্যাটেই প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ।
১৭৮ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৬৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যাওয়ার পর দলকে খেলায় ফেরানোর পাশাপাশি জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশ টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বি’পক্ষে মাঠে নামে ১৮ জানুয়ারি। ২১ জানুয়ারি স্কটল্যান্ডকে উড়িয়ে দেয় আকবরের দল। টানা দুই জয়ে দল যখন উৎফুল্ল। ঠিক তখন দেশ থেকে বড় দুঃসংবাদ উড়ে গেল আকবরের জন্য।
২২ জানুয়ারি তার একমাত্র বোন খাদিজা খাতুন না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। যমজ সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান তিনি। স্বজন হারানোর বেদনা বুকে চাপা দিয়ে দুই দিন পরই পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামেন আকবর।
শোককে শক্তিতে পরিণত করে ইতিহাস গড়েন তিনি। দেশকে প্রথমবারের মতো এনে দেন আইসিসির কোনো বিশ্বকাপ ইভেন্টের শিরোপা। তিনি নিজেকে আরো উচ্চতায় নিয়ে গেছেন ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে নায়কোচিত ইনিংস খেলে।
আজ ভারতের দেয়া সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু এনে দেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার
পারভেজ হোসেন ইমন এবং তানজিদ হাসান তামিম।
দলীয় ৫০ রানে তামিম ফিরে যান। এরপর শুরু হয় বাংলাদেশের ব্যাটিং ধ্বস। একে একে ধরাশায়ী হন দারুণ ফর্মে থাকা মাহমুদুল হাসান জয়, তৌহিদ হৃদয়, শাহাদত হোসেনরা। এরমধ্যে কপাল পোড়ে ইমনের। হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরি তাকে বাধ্য করে মাঠ ছাড়তে।
অধিনায়ক আকবর আলী ক্রিজে এসে চাপ সামাল দেয়ার চেষ্টা চালান। কিন্তু তাকে সঙ্গ দেয়ার কেউ তো থাকতে হবে! শামিম হোসেন, অভিষেক দাসরা বিদায় নিলে কঠিন চাপে পড়া দলের হাল ধরতে ইনজুরি নিয়ে আবারো ফিরতে হয় ইমনের।
অধিনায়কের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে আবারো জয়ের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন। দারুণ সব বাউন্ডারিতে সহজ সমীকরণের দিকে নিয়ে যান দলকে।
কিন্তু তার এই ত্যাগ আর উজাড় করে দেয়া ইনিংসটিও যথেষ্ট ছিলো না বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দেয়ার জন্য। ৩২তম ওভারের শেষ বলে জয়শওয়ালের শিকার হন তিনি। অফস্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল সজোরে হাঁকাতে গিয়ে আকাশ সিংয়ের তালুবন্দী হন ইমন।
কিন্তু তার বিদায়ের পরেও স্বপ্ন ভাঙতে দেননি আরেক নায়ক আকবর আলী। দায়িত্ব পুরোটা কাঁধে তুলে নেন অধিনায়ক আকবর। শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করে দলকে বিজয়ের হাঁসি এনে দেন তিনি, পূরণ করেন ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন।
Bangladesh Team
Leave a Reply